প্রধানমন্ত্রীর স্নেহময় রসিকতায় সিক্ত প্রিন্স তুমি তো প্রিন্স হয়ে আগেই বসে আছো ; শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার:
আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহে সিক্ত পাবনা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের নৌকার কাণ্ডারি গোলাম ফারুক প্রিন্স। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাবনা সহ দেশের ৫ টি জেলায় নির্বাচনী জনসভায় আ.লীগ মনোনীত পাবনার প্রার্থীদের সাথে ভার্চুয়ালি আলাপকালে প্রিন্স এর সাথে স্নেহমাখা রসিকতা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘ বসো, বসো। বসে কথা বলো। তুমি তো প্রিন্স হয়ে আগেই বসে আছো।’
এছাড়া কথার প্রেক্ষিতে স্নেহমাখা রসিকতা করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ তুমি আগে নিজের নাম বলো, নিজের নাম তো বলো নাই।’
এরপর গোলাম ফারুক প্রিন্স মানসিক চিকিৎসায় দেশের বিশেষায়িত পাবনা মানসিক হাসপাতালের সংস্কার দাবি জানান। একইসাথে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর পুনরায় চালু ও কাজিরহাটকে সংযুক্ত করে আরিচা-দৌলতদিয়া ওয়াই প্যাটার্নের দ্বিতীয় পদ্মা নির্মাণেরও দাবি জানান। এসময় প্রধানমন্ত্রী স্নেহমাখা কণ্ঠে সেগুলো দেখার আশ্বাসও দেন।
এদিকে গোলাম ফারুক প্রিন্সের সাথে করা এমন রসিকতাকে বাড়তি স্নেহ মনে করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আ.লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত স্নেহ না থাকলে এমন রসিকতা সম্ভব নয় দাবি করে আ.লীগ কর্মীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আ.লীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে প্রচন্ড স্নেহ করেন। কিন্তু আমাদের প্রিন্স এমপিকে বোধ হয় একটু বেশিই করেন। তার প্রমাণ এর আগে পেলেও আজ নতুন করে আবার তিনিই (প্রধানমন্ত্রী) দিলেন। বাড়তি স্নেহ করেন বলেই রাজনৈতিক সকল প্রতিকুলতার মধ্যেও তার (প্রিন্স এমপি) ওপরই আস্থা শেখ হাসিনার। ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার তাকে নৌকার মাঝি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ছিলো নৌকা প্রিন্স এমপির কাছেই নিরাপদ। সে আস্থা প্রিন্স এমপি রেখেছেনও। এবারের নির্বাচনে এই আসন থেকে অনেক হেভিওয়েটি নেতা নৌকা চাইলেও শেখ হাসিনা ৪র্থ বারের মত তার (প্রিন্স এমপি) ওপরই আস্থা রেখেছেন। এছাড়া টানা দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে জেলা আ.লীগের দেখভালের দায়িত্বও তাকেই দিয়েছেন। এসবকিছু থেকে আমরা অনেক আগেই প্রমাণ পেয়েছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে (প্রিন্স এমপি) অসম্ভব স্নেহ করেন।

এব্যাপারে জেলা আ.লীগের সদস্য ও পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান বলেন, ২০১৪ সালে এমপি প্রিন্সকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপর থেকে নিজের পরিবারের মত দলকে আগলে রেখেছেন তিনি। কর্মী সমর্থকদের বিপদে আপদে সব সময় পাশে থেকেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আ.লীগের সুনাম ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো কাজে কখনো তার সম্পৃক্ততা মেলেনি। এমপি হিসেবে তার সফলতাও ব্যাপক। শেখ হাসিনার নির্দেশনা মতে নির্বাচনী এলাকায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন তিনি। দলের এমন একজন নেতা বা কর্মীর ওপর দলের সভাপতির স্নেহ থাকবেই।

জেলা আ.লীগের উপদপ্তর সম্পাদক এড. রিজভী শাওন বলেন, উনি (প্রিন্স এমপি) শেখ হাসিনার পরীক্ষিত কর্মী। অপারেশন ক্লিনহার্টে যে নির্যাতনের শিকার তিনি হয়েছিলেন, তাতে বেঁচে থাকার কথা হয়তো তিনি নিজেও ভাবেননি। এমন নির্যাতনের মুখেও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল ছাড়েননি। দলের জন্য উনার ত্যাগ স্মরণীয়। সেই ত্যাগের ফলই শেখ হাসিনার স্নেহ প্রাপ্তি। যোগ্য ব্যাক্তিকে স্নেহডোরে বাধায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

এব্যাপারে গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, এমপি বা দলের বড় দায়িত্ব পাওয়া আমার কাছে কখনোই মুখ্য বিষয় ছিলো না। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছি। সব সময় চেষ্টা করেছি আ.লীগের একজন কর্মী হতে। সেজন্যই হয়তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহ পাচ্ছি। সেকারণেই বার বার উনি আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমি উনার প্রতি কৃতজ্ঞ।