পাবনায় রেলের জায়গায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের অবৈধ বহুতল ভবন নির্মাণ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় রেলওয়ের জায়গায় অবৈধভাবে প্রায় ৪ হাজার বর্গফুটের বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে মহির উদ্দীন নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। বড়াল ব্রিজ স্টেশনের পশ্চিম পাশে রেললাইনের অদূরেই গত কয়েক দিন ধরে আরসিসি করে ২৪টি কলাম দিয়ে তিনি এই বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেল সংযোগ রুটের বড়াল ব্রিজ স্টেশনের পশ্চিম পাশের রেলের কয়েক একর পুকুর ভরাট করে আরসিসি করে বহুতল ভবনের ভিত দিয়ে ২৪টি কলাম করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। রেললাইনের অদূরেই এভাবে প্রায় ৪ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে বহুতল ভবন করার স্থানীয়দের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এর আগে একই স্থানে কয়েক একরের একটি পুকুর ছিল যেখানে মাছের চাষাবাদ হতো। সেখানে দুই বছর আগে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে ভরাট করেছিলেন। সে সময় বিভিন্ন পত্রিকায় ওই বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও অদৃশ্য কারণে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। তার দুই বছর পর আবার ওই স্থানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

তবে ভবন নির্মাণকারী একাধিক সূত্র জানান, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা কৃষি জমি হিসেবে বার্ষিক লিজ নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন কৃষি জমি হিসেবে বার্ষিক লিজ নিয়ে সেখানে বহুতল স্থায়ী ভবন নির্মাণ কীভাবে সম্ভব।

সোমবার (২৮ আগস্ট) সরেজমিন রেলব্রিজের পশ্চিম পাশ ঘুরে দেখা যায়, বহুতল ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে প্রায় ৪ হাজার বর্গফুট স্থানজুড়ে ২৪টি কলাম বসানো হয়েছে। কলামগুলোর নিচের অংশ ঢালাইয়ের কাজ শেষ। আশপাশে ইটের খোয়া ও সাটারের কাঠ রাখা আছে। নির্মাণ শ্রমিকরা সাটার নিয়ে ব্যস্ত আছেন।

বহুতল ভবন নির্মাণ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মহির উদ্দীন বলেন, রেললাইনের পাশে তো তাই মজবুত করেই ভবন নির্মাণ করছি। রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েছেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভবন করার অনুমতি তো রেল কর্তৃপক্ষ দিবে না। তাই বলে জায়গা তো আর ফেলে রাখতে পারি না।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (পশ্চিম) মো. রেজাউল করিম বলেন, কৃষি জমি হিসেবে লিজ নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করার বিধান নেই। অবৈধভাবে কেউ নির্মাণ করলে ভবন ভেঙে দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।