আমিনপুরে আওয়ামীলীগ সমর্থকের দোকান ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা বেড়ায় একটি মুদি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে বিএনপি,র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে বেড়া উপজেলার নগরবাড়ি কৃষ্ণপুর গ্রামে আওয়ামীলীগ সমর্থনকারী নুর আলম এর দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আনুমানিক রাত একটার দিকে নুর আলম এর দোকানে আগুন দেখে নেভানোর চেষ্টা করে। পরে কাশিনাথপুর ফায়ার সার্ভিসকে খরব দিলে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষনে দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একই সময় জাতসাখীনী ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াড সাবেক ইউপি সদস্য রওশন আলীর বাড়িতে থাকা একটি খরের পালায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। নুর আলম সাবেগ ইউপি সদস্য রওশন আলীর আপন ভাই।
নুর আলমের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে আমার দোকানে আগুন দিয়েছে। আমার ভাইয়ের বাড়ির খরের পালায় আগুন দিয়েছে আমার প্রতিবেশি বিএনপির নেতাকর্মী সন্টু খান, বাবু, নাগর আলমসহ বেশ কিছু বিএনপির নেতাকর্মী। আমাদের সর্বশান্ত করে দিতে তাদের এই প্লান। আমার দোকানে প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকার মালামাল ছিল যা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনমাস আগেও আমাদের বাড়িতে তারা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে।
তবে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে যাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কাশিনাথপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর আলামিন হোসেন জানান, আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। তবে মুদি দোকান হওয়ায় আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরেছে। খরের পালার আগুনে ঘড়বাড়ির ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। আগুনের সুত্রপাতের বিষয়ে সঠিকভাবে এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান।
আমিনপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু বলেন, গেল ২৮ তারিখে ঢাকায় বেড়া উপজেলা যুব দলের সভাপতি রাজ্জাক আটক হওয়াকে কেন্দ্র করে তারা এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। বিএনপির প্রভাবশালী নেতা গনি ফকিরের নেতৃত্বে নগরবাড়ি কৃষ্ণপুর গ্রামের আওয়ামীলীগকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছে। কিছুদিন আগেও তারা বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর করেছে। জালাও পেড়াও এমন রাজনীতি আওমীলীগ পছন্দ করে না এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুজানগর সার্কেল রবিউল ইসলাম জানান, কৃষ্ণপুর গ্রামের অগ্নিসংযোগের ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা আগুন দিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঐ এলাকায় কারা অবস্থান করছিল এবং কারা এঘটনা ঘঠাতে পারে এটা কোন টাইপের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আমরা সব বিষয়েই গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি।