কাটা হচ্ছে তাজা গাছ, মরা গাছ কাটার টেন্ডারে

পাবনা-রাজশাহী মহাসড়কের গাছপাড়া থেকে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি রেলগেট পর্যন্ত ৭১টি মরা গাছ কাটার নিলাম হয়েছে। তবে কার্যাদেশ পেয়ে মরা গাছের সঙ্গে তাজা গাছও কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদের অধীনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে নিলামের মাধ্যমে মোট ছয়টি প্যাকেজে মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছা কাটার অনুমতি দেওয়া হয়। এরমধ্যে পঞ্চম প্যাকেজে পাবনা-রাজশাহী মহাসড়কের পাবনা সদর উপজেলার গাছপাড়া থেকে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি পর্যন্ত রেলগেট পর্যন্ত ৭১টি গাছ সর্বোচ্চ নিলামে পেয়েছে দিনাজপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাগর ট্রেডার্স। যার নিলাম মূল্য দুই লাখ ২৩ হাজার ২৫০ টাকা। যেখানে প্রতিটি গাছের গড় মূল্য তিন হাজার ১৪৪ টাকা। তবে ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট নিলাম কার্যাদেশের ২৫ দিনের মধ্যে গাছ কাটার নির্দেশনা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে গাছ কাটা হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মরা গাছের পাশাপাশি ঠিকাদারের লোকজন তাজা গাছ কাটছেন। কিছু তাজা গাছ কেটে রাস্তার পাশে ফেলে রেখেছেন। প্রতিটি তাজা কড়ই গাছে বাজারদর প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।

দাশুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মরা গাছের সঙ্গে অকারণে তাজা গাছ কাটার ঘটনা দুঃখজনক। যারা এসব দেখভাল করার দায়িত্বে রয়েছেন তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার কারণেই তাজা গাছ কাটা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাগর ট্রেডার্সের ম্যানেজার মেহেদী হাসান বাবু বলেন, নিয়ম মেনেই গাছ কাটা হচ্ছে। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি বলতে পারবো না।

ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বকুল সরদার বলেন, মরা গাছের পাশাপাশি তাজা গাছও কাটা হচ্ছে। এ বিষয়ে পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে লিখিত অভিযোগ করবো।

পাবনা মহাসড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, নিলাম কার্যাদেশের বাইরে ঠিকাদারের গাছ কাটার অনুমতি নেই। তাজা গাছ কাটা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছি। তাজা গাছ কাটা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।