সুজানগরে চরাঞ্চলের পাঁচ গ্রামের মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত

পাবনার সুজানগরের সাগরকান্দী ও নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের পাঁচটি গ্রামে তেমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নেই। ফলে ওই সকল গ্রামের মানুষ দিনের পরদিন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। গ্রাম পাঁচটি হলো চরকেষ্টপুর, চরচ-ীপুর, চররাধাকান্তপুর, চরমানুখালী ও চরনন্দুলালপুর

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পদ্মা নদী বেষ্টিত ওই পাঁচটি গ্রাম একসময় পদ্মা নদীর উত্তর পাশে অবস্থিত ছিল। এ সময় ওই সকল গ্রামের মানুষ সাগরকান্দী ও নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের মূল ভূখ-ে বসবাস করতেন। কিন্তু প্রায় দুই যুগ আগে পদ্মা নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করায় ওই পাঁচটি গ্রামের মানুষ মূল ভূগ- থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পদ্মার নদীর দক্ষিণে দুর্গমচরাঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছেন। গ্রাম পাঁচটিতে বর্তমানে প্রায় ১০হাজার মানুষ বসবাস করেন। অথচ সেখানে কোনো প্রকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নেই। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের জন্য তাদের দূর দূরান্তে যেতে হয়। তাছাড়া গ্রাম পাঁচটিতে তেমন কোনো রাস্তা-ঘাট বা হাট-বাজার নেই। দৈনন্দিন কেনা-কাটার জন্য ওই সকল গ্রামের মানুষকে বর্ষা মৌসুমে নৌকায় আর শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে নাজিরগঞ্জ এবং সাগরকান্দী বাজারে আসতে হয়। চরাঞ্চলের মানুষকে সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের কৃষিপণ্য ঘরে তুলতে। ভুক্তভোগী চরচ-ীপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন বলেন চরাঞ্চলে যানবাহন চলাচলের উপযোগী কোন কাঁচা-পাকা রাস্তা নেই। ফলে তাদের কৃষিপণ্য ঘরে তুলতে হয় মাথায় করে। তাছাড়া রাস্তা-ঘাট না থাকায় তাদের দৈনন্দিন সকল কাজ করতে হয় পায়ে হেঁটে।

এ ব্যাপারে সাগরকান্দী ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী বলেন ভৌগলিক অবস্থানের কারণে চরাঞ্চলে তেমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে নাই। এমনকি একই কারণে সেখানে কাঁচা-পাকা রাস্তা নির্মাণ করাও সম্ভব হয়না। তবে আমরা চেষ্টা করি তাদেরকে সরকারের অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে চরাঞ্চলের মানুষকে সরকারি যেকোন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।