সাঁথিয়ায় ট্রান্সফর্মার চোরের ঝলছে গেছে শরীর, ১৫ দিনেও হয়নি মামলা

পাবনার সাঁথিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার চুরি করতে গিয়ে শরীর ঝলছে গেছে এক চোরের। ১২ আগস্ট রাতে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার দুই সপ্তাহ পার হলেও হয়নি কোন মামলা কোন আসামিই গ্রেফতার হয়নি।

বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি করার সময় ট্রান্সফরমারের গরম তেলে চোরের শরীর ঝলসে গেছে। আরো ২ চোর বিদুৎ এর খুঁটির নিচে থাকায় তাদের শরীরে কোন ক্ষতি হয়নি।

জানা গেছে, ওই আহত ব্যক্তিকে গোপনে চোরচক্র প্রথমে বেড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এখন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে আহত রোগীকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

গত ১৫ আগস্ট এই মর্মে সাতানিরচরের মৃত ইউসুফ প্রাং এর ছেলে মো: সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আহত ব্যক্তির নাম আব্দুর রহমান। সে বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া জগন্নাথপুরের আঃ রাজ্জাকের ছেলে। আব্দুর রহমান এর শ্বশুর মুন্নাফ মন্ডলের বাড়ি সাঁথিয়ার সরকারপাড়া ভবানিপুর।

ট্রান্সফরমার এর নিচে মাঠের মধ্যে (ঘটনাস্থলে) দুই জোড়া স্যান্ডেল পাওয়া গেছে। আহত আব্দুর রহমানকে রাতেই একটি ভ্যান রিক্সা যোগে বেড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যে ভ্যানে গরম তেলে ঝলসে যাওয়া আব্দুর রহমানকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকেও সনাক্ত করা গেছে।

চুরি প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত আরও দুইজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো ভবানীপুর সরকারপাড়ার সংলগ্ন গোপীনাথপুর উত্তর পাড়ার নিয়ামত আলীর ছেলে আকরাম হোসেন ও আবু হানিফের ছেলে ফজু।এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আব্দুর রহমান পেশাদার চোর।সে কিছু দিন আগেও ভবানীপুর কাশু মন্ডের বাড়ির পাশে থাকা ট্রান্সফর্মার চুরি করার সময় লোকজন টের পাওয়ায় পালিয়ে গিয়েছিল।

এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের তৎপরতা রহস্যজনক। ঘটনার দুই সপ্তাহ পার হলেও হয়নি কোন মামলা কোন আসামিই গ্রেফতার হয়নি।