পদোন্নতিসহ ৯ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা।
মবার (২৮ আগস্ট) সকাল দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। কর্মসূচি শুরুর পর উপাচার্যের সহযোগীদের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপাচার্য কার্যালয়ে আপগ্রেডেশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মকর্তাদের দাবি, নীতিমালা অনুযায়ী পদোন্নতির মেয়াদ পূর্ণ হলেও দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া এডহক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মকর্তাদের স্থায়ী নিয়োগ দেয়াসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা। পরে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করে আজকের অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেন কর্মকর্তারা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরা বাধা দেন। এতে উপাচার্যের সহযোগিদের সঙ্গে সমিতির সদস্যদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে বাধা উপেক্ষা করেই উপাচার্য কার্যালয়ে আপগ্রেডেশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মকর্তাদের ৯ দফা দাবি হলো, নীতিমালা অনুযায়ী আপগ্রেডেশনের মেয়াদপুর্ন হওয়ায় কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। এডহক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মকর্তাদের স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে। কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে। কর্মকর্তাদের শিক্ষাছুটি সহ যাবতীয় প্রাপ্য ছুটি হয়রানি ছাড়া প্রদান করতে হবে। কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয়, কিন্তু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয় না, এমন দ্বৈতনীতি পরিহার করতে হবে। প্রয়াত ডেপুটি চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. শহিদুল ইসলামের সহধর্মিনীর চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার জন্য গঠিত উপ-কমিটির সকল কর্মকর্তাকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে এবং ৪% গৃহনির্মাণ ঋণ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের কয়েকটি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এক পক্ষ পদোন্নতির জন্য চেষ্টা করছেন। তারা এবারও উপেক্ষিত। এজন্য আজকে তারা এই সভা বাধাগ্রস্ত করতে অবস্থান নিয়েছে।
এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো দীর্ঘদিনের, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের বারবার আশ্বাস দিয়েও বাস্তবায়ন করছে না। এজন্য আমাদের আজকের কর্মসূচি পালন করেছি। দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন চলবে।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি আপগ্রেডেশন বোর্ডের সভায় ব্যস্ত থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি নিজেও একজন প্রার্থী ছিলাম। সকাল থেকেই আমি ওপরে (সভাকক্ষে) ছিলাম। বিষয়টি আমি পুরোপুরিভাবে জানি না। কর্মকর্তারা কেন অবস্থান নিয়েছিল সেটা জেনে তারপর বলতে পারবো।’