স্টাফ রিপোর্টার:
পাবনার সুজানগর উপজেলার স্বাধীন খান নামের এক স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে। মারধরের শিকার স্কুল শিক্ষার্থীর অভিযোগ স্কুলে সামান্য কথা কাটাকাটির রেশ ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এত সে জখম নাহলেও তাকে রক্ষা করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে জখম হন তার আরেক সহপাঠী। এছাড়া লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহতও করা হয় তাদের। এবিষয়ে বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী স্বাধীন খানের বাবা মো: আলতাফ হোসেন খান বাদী হয়ে সুজানগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত স্বাধীন খান (১৫) উপজেলার ভবানীপুর প্রফেসর পাড়ার বাসিন্দা মো: আলতাফ হোসে খানের ছেলে। সে সুজানগর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অভিযোগে বলা হয়, ভ‚ক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থী স্বাধীন খান, আসাদ, ইমন, কাওসার, ছুয়াদ, বিজয় ও রাহাদ একই স্কুলের ছাত্র। বুধবার (৮ নভেম্বর) স্কুলে একে অপরের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটির পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্বাধীন বাড়ি ফেরার সময় সুজানগর হেলাল হাজীর মার্কেট মোড় এলাকায় তার ওপর হামলা করে আসাদ, ইমন, কাওসার, ছুয়াদ, বিজয় ও রাহাদ। এসময় তার সাথে থাকা জনি ও সাইফসহ একাধিক সহপাঠী এগিয়ে আসে। হামলার একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আসাদ তাকে ছুরিকাঘাত করতে গেলে তার না লেগে তার সহপাঠী জনির গায়ে লাগে। এতে জনির কান, নাক ও কপালে জখম হয়। এসময় আসাদের সাথে থাকা অন্যরা লোহার রড দিয়ে স্বাধীন ও তার সহপাঠীদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এরপর তাদের উদ্ধার করে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে স্বাধীনের বাবা আলতাফ হোসেন খান বলেন, আমার ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী, যাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় তারা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। প্রধান দুই অভিযুক্ত আসাদ ও ইমন স্কুলের কেউ নয়, বহিরাগত। সামান্য কথা কাটাকাটির জেরে বহিরাগত আসাদ ও ইমনকে সাথে এনে আমার ছেলের ওপর আক্রমণ করে। তখনই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। স্কুল কর্তৃপক্ষও কাল ডেকেছেন, আশ্বাস দিয়েছেন সঠিক বিচার পাইয়ে দেবার।
সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দিন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।