বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শামছুজ্জামান সেলিম আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসায় তিনি মারা যান। তাঁর গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী শহরের শেরশাহ রোডে। তিনি বাংলাদেশ খেতমজুর সমিতির সভাপতি ছিলেন।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সাপ্তাহিক একতাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখতেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ঢাকায় পারিবারিকভাবে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৪টায় কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য লাশ রাখা হবে। শ্রদ্ধা নিবেদনসহ দলীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি ঈশ্বরদীতে নিয়ে যাওয়া হবে। আগামীকাল শনিবার ১৯ আগস্ট বেলা ১০টায় জানাজা শেষে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধা কর্নারে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।
শামছুজ্জামান সেলিমের ছোট ভগ্নিপতি ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ জানান, শামছুজ্জামান সেলিম বৃহস্পতিবার রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ঢাকার পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার পুরানা পল্টনে দলটির কার্যালয় মুক্তি ভবনে নেওয়া হবে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় ঈশ্বরদী শহরের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
শামছুজ্জামান সেলিম দীর্ঘদিন ধরে কমিউনিস্ট আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। চাকরি সূত্রে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীর নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলে প্রথম সিবিএর সম্পাদক ছিলেন তিনি। তখনই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে ৭ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি।
স্বাধীনতার পর চাকরি ছেড়ে সিপিবির সার্বক্ষণিক কর্মী হন, যুক্ত হন খেতমজুর আন্দোলনে। পরে এই সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।