পাবনার সাঁথিয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে না পেরে মাদ্রাসা সুপারকে মারপিটের ঘটনায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় বুধবার থানায় মামলা করতে গেলে ওসি দরখাস্ত গ্রহণ করেননি।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সাঁথিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো.আব্দুল বারীকে সাঁথিয়া পৌরসভা মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা পৌরসভায় মেয়রের কক্ষে ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করে। বুধবার মাদ্রাসা সুপার মো. আব্দুল বারী এ ব্যাপারে অভিযোগ দাখিল করার জন্য সাঁথিয়া থানায় গেলে থানার ওসি রফিকুল ইসলাম তার দরখাস্ত গ্রহণ করেননি। গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত আছেন। পরে অভিযোগ নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সুপার আব্দুল বারী এই প্রতিনিধিকে জানান, তিনদিন চিকিৎসা নেয়ার পর আমি স্বজনদের পরামর্শে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেই। এ বিষয়ে আলাপ করতে ইউএনও সাহেবের কাছে গেলে তিনি মামলা করার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করেন । পরে, থানায় মামলা করতে গেলে ওসি সাহেব দরখাস্ত বা এজাহার গ্রহণ করেননি। তিনি এ বিষয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেছেন।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা না নেয়ার অভিযোগ সত্য নয়। ভুক্তভোগী থানায় এসে কথাবার্তা বলে চলে গেছেন। তাকে লিখিত অভিযোগ আনতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই মামলা নথিভুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, সাঁথিয়া দাখিল মাদরাসার সভাপতি মনোনয়নে পাবনা-১ আসনেরর সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু ও সংসদ সদস্যের ছেলে বেড়া পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন সাঁথিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকনের জন্য সুপারিশ করেন। পরে, এমপির ছেলের কথা মতো সভাপতি করায় পৌর মেয়র ক্ষুব্ধ হয়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল বারীকে পৌরসভায় ডেকে নিয়ে মারপিট করেন। পরে, অন্য শিক্ষকরা জানতে পেরে জরুরী সুরক্ষা সেবা নম্বর ৯৯৯ এ সাহায্য চাইলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।