আরিফ খানঃ
পাবনা বেড়া উপজেলার হাট বাজারে মহাসড়কের পাশে প্রকাশ্যে মুদি দোকানে বিক্রি হওয়া দাহ্য পদার্থ জ¦ালানি তেল পেট্রোল অকটেন বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালানা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মোরশেদুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫ টি দোকানে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
গেল নভেম্বর মাসে পাবনা প্রতিদিনে ‘‘ খোলা বাজারে দাহ্য পদার্থ, বাড়ছে অগ্নি সন্ত্রাসের ঝুঁকি’’ শিরোনামে ছবিসহ শেষের পাতায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এর পর থেকে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ খোলা বাজারের দাহ্য পদার্থ বিক্রেতাদের সর্তক করে আসছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, আগামী দ¦াদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হরতাল অবরোধে অগ্নিসন্ত্রাস মুল হাতিয়ার হতে পারে খোলা বাজারের দাহ্য পদার্থ জ¦ালানি পেট্রোল,অকটেন। পত্র পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে। বিষয়টিকে আমলে নিয়ে বাজার মনিটরিং ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শনিবার দুপুরে বেড়া পৌর এলাকার দুইটি নাকালিয়া বাজারে দুটি ও ঢাকা পাবনা মহাসড়কের পাশে চাকলা বাসস্ট্যান্ডে একটি মুদি দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে প্রতিটি দোকানদারকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোরশেদুল ইসলাম জানান, ‘লাইসেন্স ব্যতিত কোন ব্যবসায়ী দাহ্য পদার্থ বিক্রি করতে পারে না। ইতি পূর্বে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকানীদের সর্তক করা হয়েছিল। তাছাড়াও তেল পাম্প মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে তারা খোলা বাজারের তেল বিক্রি না করে। নিয়মনীতি না মেনে যদি কেহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য বেড়া-সাঁথিয়ার কয়েকটি হাট-বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বেড়া সিএন্ডবি,কাশিানথপুর মহা সড়ক হয়ে নগরবাড়ি নৌ-বন্দর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে প্রায় দুইশতাধিক খোলা তেলের দোকান রয়েছে। মহা সড়কের দুপাশে প্রায় মুদি দোকানেই এক লিটার দুই লিটার প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রোল অকটেন বিক্রি করেন। অপরদিকে সাঁথিয়ার কাশিনাথপুর থেকে মাধপুর মহাসড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটারের দুপাশে প্রায় তিন শতাধিক ছোটবড় রয়েছে তেলের দোকান। মাধপুর থেকে সাঁথিয়া পর্যন্ত বাইপাস সড়কের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে আরও দেড়শতাধিক লাইসেন্স বিহীন খোলা তেলের দোকান। যে কেউ ইচ্ছা করলেই বোতলভর্তি পেট্রোল কিনতে পারছে। অনেক দোকানে আবার অবৈধভাবে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। দুই উপজেলায় তেল পাম্প রয়েছে মোট ৬ টি। যে কোন তেল পাম্প থেকে মনকে মন তেল এনে বিক্রি করেন দোকানিরা। এতে মোটরবাইক চালকদের সুবিধার্থে পাঁচ দশ টাকা বেশি দিয়েও কেনেন তারা। অনুমোদনহীন এসব দোকান দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় তেল বিক্রি করছে। অথচ অনুমোদন ছাড়া প্রকাশ্যে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা দ-নীয় অপরাধ। দাহ্য পদার্থ পেট্রোল বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স নিতে হয়।