স্টাফ রিপোর্টার:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেলে ডামি ফুয়েল লোডিং এর কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা রোসাটম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রোসাটম জানায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই কার্যক্রম প্রায় দুই সপ্তাহ চলবে। এ সময় ১৬৩টি ডামি ফুয়েল এসেম্বলী এবং ১১৫টি কনট্রোল এন্ড প্রোটেকশন সিস্টেম এবসর্বার রড লোড করা হবে। ডামি ফুয়েলের সাহায্যে রিয়্যাক্টরের সকল প্যারামিটার যাচাই নিশ্চিত হবার পর প্রকৃত ফুয়েল লোড করা হবে।
আকার, আকৃতি, ওজন, ম্যাটেরিয়াল বিবেচনায় ডামি ফুয়েল এসেম্বলী আসল ফুয়েল এসেম্বলীর সম্পূর্ণ কপি কিন্তু এতে কোনও পারমাণবিক জ্বালানী থাকে না। এই ফুয়েল লোডিং এর পর রিয়্যাক্টরের সার্কুলেশন ফ্ল্যাশিং, কোল্ড এবং হট টেস্ট সম্পাদন করা হবে। এই টেস্টগুলোর সফলতার ওপর নির্ভর করে রিয়্যাক্টরের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য অপারেশন।
এটমোস্ট্রয় এক্সপো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেক্সী ডেইরি জানান, গুরুত্বপূর্ণ এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে এটমস্ত্রয়এক্সপোর্ট, এটমটেকএনার্গো এবং রসএনার্গোএটমের বিশেষজ্ঞরা। রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের নির্মাণ এবং এর স্টার্টআপ ও অন্যান্য এডজাস্টমেন্ট কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই ইউনিটটির স্টার্টআপের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার উন্নয়নের জন্য অতি প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ লাভ করবে”।
এতমএনার্গো-বাংলাদেশ শাখার পরিচালক ডেনিস মাজলভ জানান, “ডামি ফুয়েল এসেম্বলী লোডিং এর কার্যক্রম ২৪ ঘন্টা ৭ দিনের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। রিফুয়েলিং মেশিনের সাহায্যে রিয়্যাক্টরে একটি ডামি ফুয়েল এসেম্বলী লোডিং এ গড়ে ২৫ মিনিটের প্রয়োজন হয়। ডামি ফুয়েল এসেম্বলী লোডিং এর পর আমরা সার্কুলেশন ফ্ল্যাশিং, কোল্ড এবং হট টেস্টের জন্য রিয়্যাক্টরকে প্রস্তুত করবো”।
রাশিয়ার কারিগরী ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রকল্পটিতে দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে এবং এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২,৪০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর যা সকল আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পুরনে সক্ষম। রসাটম প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাকটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।