মারধরের অভিযোগে ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরমানসহ তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মারধর, জখম, চুরি ও ভয়ভীতির অপরাধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী থানায় পৌর শহরের পূর্বটেংরী হাসপাতাল সড়কের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে ব্যবসায়ী সাব্বির আহম্মদ ওই মামলা দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান বসির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী সাব্বির আহম্মদ বলেন, আমি ইন্টারনেট ব্যবসায়ী। ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে অফিসের কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে মশুড়িয়াপাড়ার বকুলের মোড় জনি ভ্যারাইটিজ স্টোরের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ইন্টারনেট সংযোগ লাইনের কাজ করতে যায়। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরমান, একই এলাকার মান্না ও জুয়েলসহ ৭ থেকে ৮ জন অজ্ঞাত যুবক ধারালো চাপাতি, রামদা ও অস্ত্রসহ মোটরসাইকেলযোগে এসে আমাকে জখম করে। আমার কাছে থাকা নগদ ৩৪ হাজার ৫৬০ টাকা, এক লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের ফাইবার জয়েন্ট মেশিন ও ২২ হাজার টাকা মূল্যের ফাইবার পাওয়ার মিটার মেশিন নিয়ে যায়। এসময় তার সঙ্গে থাকা অন্য অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮ যুবক ইন্টারনেটের তারসহ অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।

ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরমান বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তার যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে আছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারী সাব্বির আহম্মদের বাবা একজন জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মল্লিক মিলন মাহমুদ তন্ময় বলেন, মামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ঘটনার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক আরমান জড়িত কিনা তা আমার জানা নেই। সে এ ঘটনায় অভিযুক্ত হলে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের নেতারা বিষয়টি তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন।

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান বসির বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।