ভালোবাসার কোনো সীমা পরিসীমা নেই, সুদূর অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড থেকে শাটল ট্রেন অ্যাডিলেইড বাড়িয়ে দিলো ভালবাসার হাত

ভালোবাসার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকেই আসতে পারে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যা হয়ে গেলো।  আচমকা এই বন্যায় বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলায়ও বন্যা নিঃস্ব করে দিয়েছে অনেককে। অনেকে ঘর বাড়ি, গবাদিপশু হারিয়ে অসহায় অবস্থায় পতিত হয়েছে।

সুদূর অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় বন্ধুর সংগঠন ‘Shuttle Train Adelaide’ ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী। বন্ধু আলাউদ্দিন তালুকদার এবং ছোটভাই হাবিবুর রহমানদের অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী চবিয়ানদের নিয়ে এই সংগঠন। ১ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনের ফান্ডে। বানভাসিদের জন্য স্থায়ী কিছু করা যায় কিনা তা আমার কাছে জানতে চেয়েছে। লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীহাটের ধীবর স্কুলের আশেপাশেই অনেক দরিদ্র পরিবারের বাস। এই দরিদ্র পরিবারগুলো ভালো থাকলেই ধীবর স্কুল ভালো থাকবে। সেই চিন্তা থেকেই বিকল্প কিছু করার কথা ভাবি।

সোহরাব মাঝির নেতৃত্বে ধীবর স্কুলের টিম আজ (২১/০৯/২০২৪) রায়পুর জেলাস্থ গরুর হাট থেকে উক্ত বাজেটের মধ্যে ৪টি ৬ মাস বয়সী বকনা বাছুর কিনে ৪টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করেছে। মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গন থেকে বাছুরগুলো বিতরণ করা হয়। শর্ত হচ্ছে কোনো পরিবারই এগুলো বিক্রি করতে পারবে না। তারা লালনপালন করবে। বড় হলে গাভীগুলো আবারও বাছুর দেবে। বছর বছর বাড়বে। এভাবে চারটি পরিবার কিছুটা হলেও স্বচ্ছলতার মুখ দেখবে। তিনমাস অন্তর অন্তর বাছুরগুলোর অবস্থা মালিকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবে। ফলে এ বিষয়ে আপডেট জানা থাকবে। চারটি পরিবারের প্রধানদের নামঃ

১/ সরূপা আক্তার (বিধবা)

২/ মোহাম্মদ রফিক মাঝি

৩/ মোহাম্মদ আজাদ হোসেন

৪/ মোহাম্মদ জাহের হোসেন

ধন্যবাদ জানাই চবিয়ান প্রবাসী ‘শাটল ট্রেন অ্যাডিলেইড’ এর বন্ধুদের। কৃতজ্ঞতা মেঘনাপাড় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে। মেঘনাপাড় ফাউন্ডেশন (www.meghnaparfoundation.com) মেঘনাপাড় ধীবর কারিগরি স্কুল এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। আশা করি ‘শাটল ট্রেন অ্যাডিলেইড’ মেঘনাপাড় ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এভাবেই এগিয়ে আসবে।