পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক সিদ্দিক আলীর বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭৩ বস্তা চাল লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চক্রপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে এই চাল নিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই চাল সরিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় সিদ্দিক আলী। সিদ্দিক উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চক্রপাড়া গ্রামের হাজী বাহাদুর আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার আবু সাঈদ ও আনোয়ার আলী।
সোমবার আবু সাঈদের পৌর শহরের জগতলা বাজারের দোকান এবং আনোয়ারের রাঙ্গালিয়া বাজারের দোকান থেকে কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিক্রি করা হচ্ছিল। একপর্যায়ে বিকেলে এই দুই ডিলারের দোকান থেকে সিদ্দিক ভ্যানগাড়িতে চাল তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এভাবে সিদ্দিক তার বাড়িতে ৭৩ বস্তা চাল নিয়ে জমা করেন।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি সংবাদকর্মী ও উপজেলা প্রশাসনকে জানান। সন্ধ্যায় সংবাদকর্মীরা সিদ্দিকের বাড়ি যান। তবে সংবাদকর্মীদের যাওয়ার পরই সিদ্দিক চাল সরিয়ে ফেলে পালিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিদ্দিকের বাড়ি পৌঁছেন। তবে চাল ও সিদ্দিককে না পেয়ে ফিরে আসেন তারা।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিদ্দিকের কাছ থেকে এই চালের ক্রেতা ভাঙ্গুড়া বাজারের এক ব্যবসায়ীর গুদামে অভিযান চালান। তবে সেখানেও এই চাল পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিদ্দিক বলেন, মানুষ এই চাল খায় না। তাই ডিলারদের গুদাম থেকেই সবাই একসঙ্গে চাল বিক্রি করে দেন। আমি সেই চাল কিনে ভাঙ্গুড়া খাদ্যগুদামের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করি। শুধু আমি নই, অনেকেই এই ব্যবসা করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিয়া আক্তার বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল ও সিদ্দিক আলীকে পাওয়া যায়নি। তাকে ফোন করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।