বেড়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা, পদ্মায় বালু উত্তোলন বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার:

পদ্মা নদীর পাবনা অংশে বালু উত্তোলন বন্ধে বেড়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা। এর ফলে প্রায় মাসখানেক ধরে বন্ধ রয়েছে বালু উত্তোলন। তৎপরতার অংশ হিসেবে পাবনা সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে বুধবার (২৩ অক্টোবর) দিনব্যাপী পদ্মায় অভিযানে চালানো হয়। এ অভিযানে পদ্মার পাবনা অংশে কোত্থাও বালু উত্তোলন বা এ সংশ্লিষ্ট কোনো সরঞ্জামের আলামত মেলেনি। এসময় বেশকিছু গণমাধ্যমকর্মীও উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট মি. মুরাদ জানান, অবৈধভাবে পদ্মায় বালু উত্তোলনের ব্যাপারে আমরা শুরু থেকেই তৎপর ছিলাম। তবে এরমধ্যেও নানাভাবে একটি মহল বালু উত্তোলনের চেষ্টা করে। আমরা তাদের রোধ করতে বার বার অভিযান চালিয়েছি। এরপর ইউএনও স্যার সহ গত ৭ সেপ্টেম্বর অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে সাতজনকে একমাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয় ও দুটি বাল্কেহেড জব্দ করা হয়। যেগুলো নাজিরগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফারিতে রয়েছে৷ এছাড়া দুই সপ্তাহ আগেও বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালিয়েছি, কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। আপাতত বালু উত্তোলন একেবারেই বন্ধ রয়েছে। অবৈধভাবে আর বালু উত্তোলন করতে দেয়া হবে না, এটি বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
তবে এর বাইরেও বালু উত্তোলনের বিষয়ে খোঁজ নেয় প্রতিবেদক। এবিষয়ে কথা হয় পদ্মার চরের একাধিক মাঝি, জেলে ও কৃষকসহ অনেকের সাথেই। তারাও জানান প্রায় মাসখানেক ধরে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে।
এব্যাপারে পদ্মার চরে আসা রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রামের কৃষক আনসার আলী, মাসুদ রানা ও আ. হাকিম জানান, এতোদিন পদ্মায় বালু তোলার হিড়িক ছিলো। নদীর এই অংশে বালুর ট্রলার, ড্রেজার ও বাল্কেহেডে ভরে থাকতো। মাসখানেক আগে এখানে বালু তোলা নিয়ে দুই গ্রুপের গোলাগুলিও হয়েছে। এরপর থেকে প্রশাসনের ঘন ঘন অভিযানের পর থেকে মাসখানেকের কিছুটা কম সময় ধরে বালু তোলার সেসব ট্রলার, ড্রেজার ও বাল্কেহেড দেখা যাচ্ছে না।
এসময় দোগাছি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোবিদুর রহমান সেতু, পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আফসার আলী, নৌপুলিশ নাজিরগঞ্জ ফাঁড়ির সেকেন্ড ইনচার্জ সাইদুর রহমান, সদর থানার এসআই নুরুল আমিন, পুলিশ লাইনের এসআই সাজু সহ প্রশাসনিক দপ্তরের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।