প্রতিবছর বন্যার থৈ থৈ পানির সাথে যুদ্ধ করে চলে পাবনার সুজানগরের তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। বিদ্যালয় তিনটি হলো উপজেলার পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বস্তাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শারীরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় তিনটি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিল বেষ্টিত হওয়ায় বিলে বন্যার পানি আসামাত্র বিদ্যালয়ের চারপাশে পানি থৈ থৈ করে। এ সময় প্রকৃতপক্ষে মনে হয় বিদ্যালয় তিনটি বন্যার পানির উপর ভাসছে।
বস্তাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মোমিন বলেন বর্ষার প্রায় ৩/৪মাস ওই তিনটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগ এবং ঝুঁকি মাথায় করে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। ফ্লাডলেবেল ভবনের ওই বিদ্যালয়য়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কখনও নৌকা আবার কখনও ভেলায় করে যাতায়াত করে থাকেন। অনেক সময় নৌকা এবং ভেলায় করে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে ঝড় এবং বৃষ্টির কবলে পড়ে শিক্ষার্থীদের বইপুস্তক এবং জামা-কাপড় ভেজার পাশা-পাশি নৌকাডুবির উপক্রম হয়। ফলে এ সময় বিশেষ করে শিশু শ্রেণি এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসেনা। এতে বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয় তিনটিতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কিছুটা কমে যায়।
তবে শারীরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শরীফুল ইসলাম বলেন বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমরা নৌকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করে থাকি। সেকারণে শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ, দুর্দশা এবং ঝুঁকিকে উপেক্ষা করেই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল জব্বার বলেন বন্যার পানির কথা বিবেচনা করে সরকার বিদ্যালয় তিনটিতে ফ্লাডলেবেল ভবন নির্মাণ করেছে। সেকারণে বর্ষা মৌসুমেও বিদ্যালয়ের কার্যক্রম যথারীতি পরিচালিত হয়।