২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মোটরসাইকেল গ্যারেজে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে একদল সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বিভিন্নরকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে নিয়মিত চাঁদা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্যারেজের ইজারাদার মুরাদ হোসেন। এছাড়া প্রতিদিন হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগও তার। এ নিয়ে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন তিনি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৯ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে শালগাড়িয়া ইংলিশ রোডের মিরাজ ও পিন্টুর নেতৃত্বে ৫/৭ জনের একটি সন্ত্রাসী দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মোটরসাইকেল গ্যারেজে গিয়ে সোহাগ ও রোহান নামে দুজন কর্মীকে অকথ্য গালাগাল করে এবং চাঁদার জন্য হত্যা হুমকি দেয়। এদিন জোরপূর্বক ১২শ টাকা চাঁদা নেয়। একইভাবে বিভিন্ন সময় এযাবৎ প্রায় ১০ হাজারের বেশি টাকা চাঁদা নিয়েছে সন্ত্রাসী দল। সম্প্রতি তারা বিভিন্নধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদানের পাশাপাশি প্রতিদিন নির্ধারিত ১ হাজার টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দিয়েছে।
এব্যাপারে গ্যারেজের কর্মী সোহাগ ও রোহান জানান, সেদিন অনেক রাতে এসে হঠাৎই গালাগাল শুরু করে তারা। বার বার মারতে তেড়ে আসে। আমরা কিছু বুঝে না উঠতেই এসব ঘটনা ঘটছিলো। পরে তারা বলে এখানে ব্যবসা করতে হলে তাদের মত করে সব পরিচালনা করতে হবে। তাদের খুশি রাখতে হবে। পরে জোরপূর্বক ১২শ টাকা নিয়ে যান। এভাবে আরো কয়েকদিন নিয়েছেন। না দিতে চাইলে গ্যারেজ ভেঙে দেবার ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। নতুন করে স্বাধীন হওয়া দেশে এভাবে নিরাপত্তাহীনতায় কিভাবে কাজ করব?
২০১২ সালে হাসপাতালের তৎকালীন কর্তৃপক্ষের থেকে এই মোটরসাইকেল গ্যারেজের বৈধ ইজারা পায় মুরাদ হোসেনের আর.এম ট্রেডার্স। এর মেয়াদ ২০১৪ সালে শেষ হলেও মামলা জটিলতায় পরে আর পুন:ইজারা হয়নি। একারণে বৈধ আদেশে ২০১২ সালে ইজারা পাওয়া আর.এম ট্রেডার্স-ই এখনো ইজারাদার হিসেবে মোটরসাইকেল গ্যারেজটিতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। চাঁদাবাজির ব্যাপারে এর সত্ত্বাধিকারী মুরাদ হোসেন বলেন, সরকারকে ন্যায্য ইজারামূল্য পরিশোধ করে ব্যবসা পরিচালনা করছি। এখানে অন্যদের চাঁদা দিতে আমি বাধ্য নই। অথচ মিরাজ ও পিন্টু তার সন্ত্রাসী দল নিয়ে অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে চাঁদা নিচ্ছে। গ্যারেজের কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করছে ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এভাবে কিভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব? আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো প্রতিকার পাইনি। এখনো তারা চাঁদার জন্য হুমকি দিচ্ছে। র্যাব ও পাবনার দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের কাছেও প্রতিকার চেয়েছি। দ্রুত চাঁদাবাজি বন্ধ করে গ্যারেজ ও গ্যারেজের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।
এব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, অভিযোগ দিতে পারে। এখন পর্যন্ত আমার জানা নাই। তবে অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।