এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পাবনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, পাবনা সদর থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন, সহকারী প্রক্টর ড. মাসুদ রানা, ইয়াহিয়া ব্যাপারী আকাশ, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন।
পরে দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের চাপে পান্তুয়া সুইটসের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন জ্যাকি শিক্ষার্থীদের সামনে বাস ড্রাইভারের কাছে ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের আচরণ করবেন না বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ উঠিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
এ বিষয়ে কথা জানতে চাইলে পান্তুয়া সুইটসের ম্যানেজার নাসির উদ্দিন জ্যাকি গণমাধ্যমের সামনে কিছু বলতে রাজি হননি। পান্তুয়া সুইটসের মালিক মাহমুদুন্নবী বলেন, আমি গতকাল দোকানে ছিলাম না। যদি আমার ম্যানেজার এই ধরনের কোনো কাজে জড়িত থাকে তাহলে তাকে দোকান থেকে বহিষ্কার করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, গতকাল ঘটনা ঘটার পর আমার দোকানদার এবং বাস ড্রাইভারদের সাথে কথা বলেছি এবং সেখানে একটা সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আজকে হঠাৎ করে শিক্ষার্থীরা শহরে এসে রাস্তা অবরোধ করেন। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমরা জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলে আগামীতে ধরনের কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে আমরা সে চেষ্টা করব।
পাবনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ছোট একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে, যেটা একেবারেই কাম্য ছিল না। শহরের রাস্তাগুলোর প্রশস্ততা কম হওয়াতে বেশিরভাগ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের কারণে শহরে জ্যাম তৈরি হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ড্রাইভারদের সাথে অটো, রিকশা ড্রাইভারদের সাথে সমস্যা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িগুলো বিকল্প কোনো রাস্তা দিয়ে নিতে পারলে সমস্যাটা তৈরি হতো না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলব এবং যদি বিশ্ববিদ্যালয় বাসগুলো বিকল্প কোনো রাস্তা দিয়ে নেওয়া যায় কিনা সেটা দেখবো। বিকল্প রাস্তা দিয়ে বাস নিতে পারলে এই সমস্যা গুলো তৈরি হবে না বলে আমি মনে করি।
এদিকে, ঘটনার পর অভিযুক্ত ম্যানজোর নাজির উদ্দিন জ্যাকিকে বরখাস্থ করা হয়েছে বলে জানান পান্তুয়া সুইটস এর স্বত্বাধিকারী মাহমুদুন নবী। তিনি বলেন, ‘আমার দোকানের কর্মচারী হয়ে তিনি কেন বাইরের বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাবেন। সেটা তো তার দায়িত্ব ছিলনা। এতে আমার দোকানের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি তাকে বরখাস্থ করেছি।’
উল্লেখ্য, পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্র আব্দুল হামিদ সড়কের ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় কমে গেছে সড়কের আয়তন। দিনের বেলায় এই সড়ক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ বিভিন্ন কোম্পানীর অন্তত ২০টি বাস চলাচল করে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প পথ খোঁজার পরামর্শ সচেতন মহলের।