নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক এমপি মা-মাটি ও নিপীড়িত মানুষের নেতা খন্দকার আজিজুল হক আরজু’র নির্বাচনী মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় আমিনপুর থানাধীন নাটিয়াবাড়ি অর্ঘ্য কনভেনশন সেন্টারে খন্দকার আজিজুল হক আরজু’র সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওয়াহাব, সুজানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের রোকন, সুজানগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক কল্লোল, রুপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজাহারুল ইসলাম মহন, রাণীনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিএম তৌফিকুল আলম পিযুস, দুলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান সিরাজ, আহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল মিয়া, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, তাতীবন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, সাগরকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী, ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনউদ্দীন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি পরিষদের পাবনা জেলা সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম স্বপন, রুপপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন, মাশুমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন, সুজানগর এনএ কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদেরসহ শতশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দেন খন্দকার আজিজুল হক আরজু।
উল্লেখ্য, এই নির্বাচনী এলাকার অধিকাংশ নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের দাবী, বিগত নির্বাচনগুলো থেকে এবারের নির্বাচন হবে ভিন্ন ও প্রতিযোগিতামূলক। এই নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীরা তাদের মুল্যায়ন পাবেন। তাই তারা তাদের প্রিয় নেতা পাবনা-২ আসনের অভিভাবকখ্যাত খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য উৎসাহিত করেন।
পাবনা জেলার সুজানগর ও বেড়া উপজেলার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত পাবনা-২ আসন। কৃষি নির্ভর এই অঞ্চলে পাঁচ বার আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে এ আসনে পাঁচ বার আওয়ামী লীগ, তিন বার বিএনপি এবং একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আহমেদ ফিরোজ কবির বিএনপির এ কে এম সেলিম রেজা হাবিবকে হারিয়ে এই আসনে নির্বাচিত হন। এই আসনে মোট ভোটার প্রায় সাড়ে তিন লাখ। আসনটিতে আওয়ামীলীগের অবস্থান আগে থেকেই ভালো। অনেক দিন ধরে এই আসন হাতছাড়া বিএনপি’র। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বড় অভিযোগ, বর্তমান সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির নির্বাচিত হবার পর থেকেই দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে রেখেছেন। যা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ে প্রভাব ফেলতে পারে। নেতৃত্বের যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষমতা না থাকে, প্রজ্ঞা ও সাহস না থাকে, তাহলে সংকট তীব্র পর্যায়ে যায়। নেতৃত্ব যদি অর্বাচীনের মতো কারও পাতা ফাঁদে পা দেয়, তাহলে তো তার পরিণাম ভয়াবহ হতে বাধ্য। নেতা জনগণকে নেতৃত্ব দেবে নাকি জনগণের নির্দেশ মতো চলবে- এ এক বিতর্কই বটে! এমনই এক সংকটের মুহূর্তে পাবনা-২ আসনের জন্য অনিবার্য একটি নাম সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু।