পাবনার সুজানগরে আবারো সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১ ॥ আইন শৃংখলা নিয়ে প্রশ্ন স্থানীয়দের!

পাবনার সুজানগরে আবারো গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুজানগরের ভাটপাড়ায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো এ ধরনের ঘটনায় বিশ্ময় প্রকাশ করেছেন সুজানগরবাসী। শনিবার সুজানগর থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় পুলিশ এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার এজহার থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে গৃহবধূকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে আসামিরা। সুজানগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল আলম বলেন, মামলা দায়েরের পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি মো: শামিম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। শামিমকে আদালতের মাধ্যমে রোববার জেলহাজতে পাঠানো হয়। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এক সাপ্তাহের ব্যবধানে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে তিনিও বিশ্ময় প্রকাশ করেন।

এদিকে গত ১৭ মে সুজানাগরের ভাটপাড়ায় এক স্কুল ছাত্রীকেও গণধর্ষণ করে বখাটেরা। ওই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করলেও মূল আসামীরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছেন বলে অভিযোগ নির্যাতিত ওই পরিবারের। ওই সময়ে স্কুল শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানবন্ধন করেছে গ্রামবাসীরা। সুজানগরবাসী জানান, গত ৮ মে উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে সুজানগরে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বাড়ি ঘরে হামলা, ভাঙচুরের পর নিজ বাড়ি থেকে মধ্যযুগীয় কায়দায় স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ বর্বরতার সকল সীমা ছাড়িয়েছে।

নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর নানী জহুরা খাতুন বলেন, ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থী তার স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ের অসহায় কন্যা। ৩২ বছর ধরে তারা ভাটপাড়ার বাসিন্দা হলেও এমন পরিস্থিতি কখনো হয়নি। মূল আসামীরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছেন বলেও দাবী করে তিনি দোষীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

এদিকে, ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী। তিনি বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। অতি দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এর এক সাপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ওই ঘটনার মূল আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারসহ সুজানগরবাসী। তাদের দাবী সুজানগরের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হলেও দেখার কেউ নেই। তারা অবিলম্বে সুজানগরের আইন শৃংখলা পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।