মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে পাবনা জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬৪৬টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পাবনা জেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাবনার বেড়ার চাকলা ইউনিয়নের চাকলা আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন সরকার প্রধান।
অনুষ্ঠানে ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে এবার পাবনার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে চাটমোহরে ৭৮টি, ভাঙ্গুড়ায় ৪১টি, ফরিদপুরে ১১৩টি, সুজানগরে ৫৩টি, বেড়ায় ৩৬১টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। ইতোমধ্যে উপকারভোগী বাছাই করে তাদের কবুলিয়াত ও নামজারী সম্পন্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের দখলও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য দেন আশ্রয়ণের বাসিন্দারা।
জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ের প্রথমধাপে ৩ হাজার ৯টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রদান করা হয়েছে। ৪র্থ পর্যায়ে জেলায় ১ হাজার ৫১৮টি ঘর বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ১ম ধাপে গত ২২ মার্চ ৮৭২টি ঘর প্রদান করা হয়েছে। আর ২য় ধাপে প্রদান করা হলো ৬৪৬টি ঘর।
এর আগে চারটি উপজেলা ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া ও পাবনা সদর উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আর এবার বাকি পাঁচটি উপজেলা চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, বেড়া, সুজানগরে এই ঘোষণা করা হলো। এর মাধ্যমে পুরো জেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হলো। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রাজশাহী রেঞ্চের ডিআইজি আনিসুর রহমান, পাবনা জেলা প্রশাসক মু: আসাদুজ্জামান, পাবনা পুলিশ সুপার মুন্সি আকবর আলীসহ স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।