নিজের বিবেক বোধ থেকে পাবনার উন্নয়নে কাজ করবো: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, নিজের বিবেক বোধ থেকে পাবনার উন্নয়নে তিনি কাজ করে যাবো। এ জন্য তিনি দেশের সর্বোচ্চ পদে তাঁর দায়িত্ব পালনে দল-মত নির্বিশেষে সকল সাংবাদিকের সহযোগিতা কামনা করেন। বুধবার রাতে পাবনা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন। একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে তিনি পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য।

এ সময় রাষ্ট্রপতি ছাত্র রাজনীতিজীবনসহ তাঁর সহকর্মিদের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করেন। ওই সময়ে ছাত্র রাজনীতির সাথে তাঁর সাংবাদিকতা পেশার যথেষ্ট সামঞ্জস্য ছিল। মোঃ সাহাবুদ্দিন পাবনা ট্রেন লাইন চালুর ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন এবং এ নিয়ে যেন কেউ ভুল ব্যাখা না করতে পারে সে জন্য তিনি আবারও সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান। ছাত্রনেতা হিসেবে ছাত্রজীবনের বিভিন্ন দিক ও মতাদর্শের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, কোনো সমাজ ব্যবস্থা ধার করা যায় না। রাষ্ট্রপতি বলেন, জনগণের আকাক্সক্ষার ভিত্তিতে সমাজ গড়তে হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি অনেক মতবাদ দেখেছি, কিন্তু শেখ মুজিবের আদর্শ বা মুজিববাদকে হৃদয়ে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি।
বীরমুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ওই সময়ে অন্য কোন মতবাদ কার্যকরী ছিল না, একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাধারা ও আদর্শই সঠিকভাবে কাজ করছিল। তাঁর নেতৃত্বে, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করি।

রাষ্ট্রপতি এ সময় তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিমন্থন করে বলেন, ‘আমি এই পাবনা প্রেসক্লাবে অনেক গৌরবময় ও উজ্জ্বল দিন অতিবাহিত করেছি।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, তিনি বিভিন্ন সময়ে মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আরো বলেন, ‘আমি সব সময়ই ত্যাগের রাজনীতি করেছি এবং কোন ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য সম্পৃক্ত হইনি।
মোঃ সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং এটি রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় পাবনা সফর।

এর আগে রাষ্ট্রপতি পাবনা সার্কিট হাউসে পৌঁছালে পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ও সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।

পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, পাবনা সংবাতপত্র পরিষদ সভাপতি আব্দুল মতীন খানসহ বিভিন্ন গনমাধ্যম ও পানা প্রেসক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় ৫০০ শষ্যার পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করবেন। এরপর বিকেলে সাঁথিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার ফাইনাল লেখা দেখবেন।

২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার শেষে পাবনা স্টেডিয়ামে হেলিপ্যাডে উপস্থিত হয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।