নিজস্ব প্রতিনিধি:
সম্প্রতি বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মাসাৎ, মাদকসেবন ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে পাবনা টাউন গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল করিম ফিরোজের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনও করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একাংশ। তাকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রবিউল করিম ফিরোজ। শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন তিনি।
এসময় তার স্ত্রী আসমা খাতুন, মেয়ে রিফা তাসফিয়া ও ভাই পাবনার ভাঁড়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে রবিউল করিম ফিরোজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন হয়রানি ও বিদ্যালয়ের অর্থ লুটপাট, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই। সহকারী প্রধান শিক্ষক আল আমিন উদ্দিন সহ কয়েকজন শিক্ষক মিলে আমাকে ফাঁসাতে এ ষড়যন্ত্র করছেন। এসব নিয়ে এর আগেও আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি হলে সেগুলো মিথা প্রমাণিত হয়। কিন্তু নিজে প্রধান শিক্ষক হতে আবারো সেই অপপ্রচার চালাচ্ছে। যেটি নিন্দনীয় ও দু:খজনক।
তিনি বলেন, ছাত্রীদের যৌন হয়রানি সহ আমার ওপর জঘন্য সব অভিযোগ আনায় আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। একারণে গত ১০ সেপ্টেম্বরের পর আমি বিদ্যালয়ে যাইনি। এর আগে সংস্কার কাজের জন্য প্রধান শিক্ষকের রুম খালি করে দেয়া হয়। এরপর চলতি মাসের ১৬ তারিখে ওই রুমের চাবি সহকারী প্রধান শিক্ষককে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এরপর হঠাৎই আমার রুম থেমে মাদক সহ নানা অপদ্রব্য রেখে তা বের করে আমাকে ফাঁসানো নতুন নাটক সাজানো হয়। গণমাধ্যমকর্মীদের বিভ্রান্ত করে মিথ্যা সংবাদও প্রকাশ করা হয়। সহকারী প্রধান শিক্ষক আল-আমিন উদ্দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য আমার নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। এবিষয়ে আমি ন্যায় বিচার চাই। বিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রী সহকারী প্রধান শিক্ষকের কোচিং-এ পড়ে, তাদেরদিয়ে মিথ্যা যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলছে। যদি কোনো ছাত্রী প্রমাণ করতে পারে আমি তাদের শরীরে হাত দিয়েছি তাহলে আমি নিজেই ফাঁসির দাড়িতে ঝুলতে প্রস্তুত আছি।
এবিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন বলেন, আমাকে এর সাথে জড়িয়ে বাঁচা সহজ হবে ভেবে তিনি আমার বিরুদ্ধে এসব বলছেন। আমরা তো অভিযোগ করিনি, স্কুলের ছাত্রী এবং সমন্বয়করাই এই অভিযোগ তুলেছে এবং প্রমাণের ভিত্তিতেই প্রশাসন তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।