ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০০ ছুঁইছুঁই

সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৪৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ২১৬৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৪২ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩২৬ জন। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৭ হাজার ৮২৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৫৭০ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ২৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪ হাজার ৩৫৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৫০ হাজার ১৭০ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৪ হাজার ১৮৯ জন।আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৬ হাজার ০৩৭ জন। ঢাকায় ৪৬ হাজার ২৩৪ এবং ঢাকার বাইরে ৪৯ হাজার ৮০৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে প্রায় ৭ গুণ বেশি। এদের প্রায় ৭০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের মধ্যে এবং ৮০ শতাংশের বয়স ৪০ বছরের মধ্যে।অন্যদিকে, ডেঙ্গুর অর্থনৈতিক ক্ষতিও কম নয়। ২০২৩ সালে মৃত্যু হারের ঊর্ধ্বগতি, চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয়, পথ্য, যাতায়াতসহ অন্য ব্যয়ের ব্যাপক বৃদ্ধির ফলে ডেঙ্গুর অর্থনৈতিক ক্ষতি এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী যা ছিল ৪০০ কোটি টাকার বেশি। জনগণ প্রতিবছর এই ধরনের বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও, রাষ্ট্র এবং নগর কর্তৃপক্ষসমূহের ডেঙ্গু নিরসনের প্রচেষ্টা চোখে পড়ার মতো নয়। ডেঙ্গু যেহেতু আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে নানা অনাচারের ফসল এর নিয়ন্ত্রণেও তেমন ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ-রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে এবং সর্বমহলকেই সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তা করতে না পারলে আর পালাবার জায়গা থাকবে না, কেননা ডেঙ্গু এখন গ্রামেও পৌঁছে গেছে।