নাটোর থেকে চুরি হওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধারে গিয়ে আরও ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল পেয়েছে পুলিশ। সিরাজগঞ্জ ও পাবনার বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাই মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার হয়। এ সময় চোর চক্রের আট সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় নাটোর পুলিশ লাইন ড্রিল সেডে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। গ্রেফতাররা হলেন- বগুড়ার সরকারগাবতলী থানার পুরাদহ গ্রামের বাদশা সরকারের ছেলে দুলাল মিয়া (৩৯), টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার পাখাইলকান্দি গ্রামের মৃত মোজাফফর আলীর ছেলে আইয়ুব আলী (৪৫), পাবনার আমিনপুর থানার হিরুখানের ছেলে শামীম খান (২০), একই উপজেলার কালিননগর গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে নাছির উদ্দিন (২৬), রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানার বাইয়া গ্রামের শামীম বাবুর ছেলে আল-আমিন ইসলাম (২৭), পাবনার বেড়া থানার শ্রীকণ্ঠদিয়া গ্রামের সোলেমান শেখের ছেলে খবির শেখ (২২), শাহজাদপুর থানার বাতিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল মন্ডলের ছেলে বাচ্চু মিয়া (৫৩) ও আতাইকুল থানার চুলকাটা গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে জিয়াম হোসেন জিম (২০)।
পুলিশ সুপার জানান, কিছুদিন আগে নাটোরের সিংড়া থানা সদরের সিংড়াপাড়া গ্রামের ওসমান গণির একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও মোটরসাইকেলটি না পেয়ে থানায় মামলা করেন মালিক। মোটরসাইকেলটি উদ্ধারে সিংড়া থানা পুলিশ এবং অ্যান্টি টেরোরিজমের একটি দল সিরাজগঞ্জে অভিযান চালিয়। মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের পাশাপাশি দুলাল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে সিরাজগঞ্জ ও পাবনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ সময় আরও সাতজন চোরকে গ্রেফতার করা হয়।
তারিকুল ইসলাম আরও জানান, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ছুরি, ছিনতাই এমনকি হত্যা মামলা পর্যন্ত আছে। উদ্ধার হওয়া অপর সাতটি মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিকানা যাচাই এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।