পাবনার চাটমোহরে সোনালী আঁশ পাটের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। তবে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ফৈলজানা, মূলগ্রাম, পাশর্^ডাঙ্গা, মথুরাপুর ও বিডিবগ্রাম ইউনিয়নের নদী, নালা, খাল-বিল প্রায় পানিশুন্য। ইতোমধ্যে পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক। গ্রামের নারীরা সকাল থেকে পাটকাঠি থেকে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাজারে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ও বন্যার পানি না আসায় পাট জাগ দিতে কৃষক হিমশিম খাচ্ছেন।
চাটমোহর উপজেলায় চলতি মৌসুমে পাটের আবাদ বেড়েছে। গত মৌসুমে পাটের দাম ভালো পাওয়ায় এবার কৃষক পাটচাষে ঝুঁকেছেন। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগ এ উপজেলায় ৮ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৮৬০ হেক্টর। গত বছর পাটের ভালো ফলন ও ভালো দাম পেয়েছেন কৃষক। উপজেলা কৃষি বিভাগ ও পাট অধিদপ্তর পাট চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দিয়েছে। কৃষি বিভাগের কর্মীরা পাট চাষিদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিয়ে পাট আবাদে সহযোগিতা করেছে।
উপজেলার দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের পাটচাষি ইজাবত আলী জানান,দুই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি। এখন পর্যন্ত ভালো আছে। তবে পানির অভাবে পাট নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় আছি। হরিপুর এলাকার পাটচাষি আকতার হোসেন জানান, চার বিঘা জমি পাট চাষ করেছি। ইতোমধ্যে দুই বিঘা জমির পাট কেটে জাগ দিয়েছি। এলাকায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছি। মূলগ্রাম ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের পাট চাষি আঃ কুদ্দুস বললে,এবার পাটের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। বন্যার পানি কম এসেছে, বৃষ্টিও তেমন হয়নি। ফলে পাট জাগ দেওয়া ও ধুতে অসুবিধা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ এ মাসুমবিল্লাহ বললেন, গত মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হওয়ায় ও পাটের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক এবার বেশি জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে পাট চাষিদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আশা করেন পানিপ্রবাহ বাড়বে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পাট জাগ দিতে পারবেন কৃষক।