পাবনার ভাঙ্গুড়া চৌবাড়ীয়া হারোপাড়া এলাকার দর্জি হাসিনুর রহমান হাসু (৫৩) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত রিমন, ভাঙ্গুড়া রাঙ্গালিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. আতিকুর সরকারের ছেলে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
পুলিশ সুপার জানান, হাসিনুর রহমান হাসু পেশায় একজন দর্জি ছিলেন। ১ম স্ত্রী মানসিক অসুস্থ থাকায় পরিবারের সম্মতিতে ২য় বিয়ে করেন সাজেদা খাতুনকে। পারিবারিক কলহে সম্প্রতি এক কন্যা সন্তানের জননী সাজেদা খাতুনকে তালাক দেন হাসু। আবারও সাজেদা সংসার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। এতে ব্যার্থ হয়ে কবিরাজের দেয়া তাবিজ হাসিনুরের বাড়িতে পুঁততে সাজেদা খাতুন তার বোন জামাই মো. রিমন হোসেন কে পাঠায়। ভাঙ্গা সংসার জোড়া লাগাতে রিমন সরকার গভীর রাতে হাসিনুরের বাড়ীর গেটের সামনে তাবিজ পুঁততে যায়। হাসু টের পেয়ে রিমন সরকারকে কৌশলে তার রুমে ডেকে দরজা লাগিয়ে দেয় এবং রিমনকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এতে ভীত হয়ে রিমন রুম থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে হাসিনুর রহমান তাকে বাঁধা দেয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রিমন ঘরের দরজার পাশে থাকা লোহার শাবল দিয়ে ভায়রা হাসিনুরের মাথায় আঘাত করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে রিমন হাসিনুরকে মেঝেতে পড়ে থাকা ধারালো দা দিয়ে ঘাড়ের উপর আঘাত করে। হত্যাকান্ড ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য রিমন ঘরের পিছনে শাবল দিয়ে সিদ কেটে রাখে। যেন মানুষ ভাবে কোন চোর চুরি করতে এসে হত্যা করেছে। পুলিশ সুপার জানায়, এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে চেষ্টা চালায় পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ঘাতক রিমনকে দ্রুত গ্রেফতার করে পুলিশ এবং ঘাতকের দেওয়া তথ্য মতে তাবিজ ও হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত শাবল, দা ও রক্ত মাখা শার্ট ও লুঙ্গি টয়লেটের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে পাবনা আতাইকুলা চাঞ্চল্যেকর কৃষক কুদ্দুস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও অভিযুক্ত প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হলেন, পাবনা আতাইকুলার স্বরুপপুর এলাকার কাজি আহম্মেদ আলীর ছেলে মো. আকমল হোসেন (৪৫)। পুলিশ জানায়, পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক জানতে পারায় পরিকল্পিতভাবে কুদ্দুস কে হত্যা করে আকমল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, সদর সার্কেল ডি, এম, হাসিবুল বেনজীর, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আরজুমা আকতারসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।