স্টাফ রিপোর্টার:
পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুরে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্পষ্ট করতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ভাতার টাকা কেউ আত্মসাত করেননি বলে স্বীকারোক্তি দেন ভাতাভোগী। শুক্রবার সকালে পাবনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন চরতারাপুর ইউনিয়নের ওই ভাতাভোগী দিলবার শেখ। এসময় তার ছেলে, ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবু উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, করোনাকালীন সংকটের সময় তার অর্থনৈতিক দুরাবস্থা দেখে সেসময় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবু তাকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দেন। তার বা তার পরিবারের কোনো সদস্যের ফোন না থাকায় ইউপি সদস্যের নাম্বার দিয়েই কার্ড করতে অনুরোধ জানান ভাতাভোগী দিলবার শেখ। ভাতার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ অসত্য উল্লেখ করে তিনি জানান, নিয়মিত ইউপি সদস্যের ফোনে টাকা আসলেও সেগুলো তাকে পৌঁছে দেয়া হতো। ভাতার টাকা পান না বলে এর আগে গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি চাপের মুখে দিতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, চরতারাপুর ইউনিয়নের দিলবার শেখের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আ.লীগ নেতার নিজ মোবাইল নাম্বারে নিয়ে তা মেরে দেন বলে অভিযোগ ওঠে চরতারাপুরের ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে। সদ্য ঘোষিত ইউনিয়ন আ.লীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এ দায়িত্ব দেবার পরই তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হয়। অন্যদিকে এধরণের অভিযোগ তোলাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বাবু ও তার অনুসারীরা।