পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরে পশু হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয়ে ভুয়া পশু ডাক্তারের প্রতারণায় শিকার হচ্ছেন গরু ও ছাগল পালনকারীরা।
শনিবার(২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঈশ্বরদী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের পূর্ব নুরমহল্লা এলাকায় বেশ কিছু গরু ও ছাগল পালনকারীদের নিকট পশু চিকিৎসকের পরিচয়ে চিকিৎসা প্রদানের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক হাজার টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক ব্যক্তি নিজের নাম না জানিয়ে প্রায়ই শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নিজেকে উপজেলা পশু হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয়ে করোনার মত মহামারি গরুর লাম্পিং রোগ এবং ছাগলের ক্রিমি রোগের ইনজেকশন ও জিংক সিরাপ দিয়ে গরু প্রতি সাড়ে ৫৫০ টাকা করে আদায় করছেন।
গরুর লাম্পিং রোগের জন্য সরকারীভাবে কোন ইনজেকশন দেওয়া হয় না। বেসরকারীভাবে বাজারে যে সকল ইনজেকশন রয়েছে তা বেশ ব্যয় বহুল। আর পশু হাসপাতাল থেকে এধরণের কোন চিকিৎসা প্রদানের জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বলে ঈশ্বরদী পশু হাসপাতাল থেকে জানানোর পরই প্রতারণার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
শহরের নুরমহল্লার গরু পালনকারী চম্পা বেগম বলেন , গত ১০দিন আগে আমার দুইটি গরুকে ঈশ্বরদী পশু হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক এসে ক্রিমিনাশক ইনজেকশন দিয়ে যান। আর আজ (শনিবার) সকালে ওই ব্যক্তি পশু হাসপাতাল থেকে গরুর ল্যাম্পিং রোগের ইনজেকশন সরকারি ভাবে দিতে এসেছেন জানিয়ে গরু দুটিকে আবারও ক্রিমির ইনজেকশন ও এক বোতল জিংক সিরাপ দেন। সেই সঙ্গে একটি প্রেসক্রিশন করে দিয়ে ৫৫০ টাকা নিয়ে যান।
হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন ওই ব্যক্তি ভূয়া পশু চিকিৎসক।তবে ওই ব্যক্তি প্রায়ই শহরের বিভিন্ন এলাকায় এভাবে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই বিষয়ে ঈশ্বরদী প্রাণী সম্পদক কর্মকর্তা (ইউএলও) মোঃ নাজমুল হোসাইন বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত এরকম কিছু খবর আমাদের নিকট আসছে। কিন্তু আমরা তাকে ধরতে পারছি না। পশু হাসপাতাল থেকে কাউকে ল্যাম্পিং ও ক্রিমি রোগের ইনজেকশন দেওয়ার অনুমোতি দেওয়া হয়নি। এরপর কেউ নিজেকে পশু হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয়ে চিকিৎসা দিতে গেলে তার পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে চিকিৎসা নেওয়া যাবে না। এই ধরনের প্রতারকদের আটক করে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হবে।