আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে পাবনার ইশ্বরদী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমদাদুল হক রানা সরদারের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (২৬ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এই তথ্য জানান। এর আগে তার বিরুদ্ধে আচরবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে ২৬ মে নির্বাচন কমিশনে নিজে উপস্থিত থেকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। রানা সরদার স্থানীয় এমপি গালিবুর রহমান শরীফ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, দু’জন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয়েছিল। এর একজন ছিলেন ঈশ্বরদীর চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. এমদাদুল হক (আনারস)। তিনি প্রতীক বরাদ্দের দিন আচরণবিধি ভঙ্গ করেন। তার দেয়া জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। প্রসঙ্গত, ৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচনে তিনজন প্রার্থীর একজন এমদাদুল হক রানা সরদার। ১২ মে তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক পেয়েই আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত প্রতীক নিয়ে মিছিল করেন তিনি। এছাড়া হোন্ডা শোডাউন, নির্বাচনী সভায় খাবার দাবারের আয়োজন ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর মত আচরণবিধি লঙ্ঘনের নানা অভিযোগ ওঠে রানা সরদারের বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ মে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন তাকে সতর্ক করার পাশাপাশি শোকজও করেন। তবুও তিনি আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টে ভূমিকা রেখে চলেন।
ঈশ্বরদীর একটি সূত্র বলছে, স্থানীয় এমপি গালিব শরীফের সমর্থন পাওয়ার কারণেই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার। এমপি গালিব শরীফের ভাই উপজেলা যুবলীগ নেতা শিরহান শরীফ তমালের নেতৃত্বে ঈশ্বরদীতে ভোটের মাঠকে ভীতির জনপদে রুপ দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় শিরহান শরীফ তমাল রানা সরদারের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সরাসরি হুমকি ধামকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। ভোটারদেরও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন তারা।